• Home  
  • খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
- খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে ‘আদিবাসী ছাত্র সমাজ’ ব্যানারে শহরের মহাজনপাড়া থেকে এই বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয় এবং শাপলা চত্বর হয়ে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা অপহৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি এবং রাঙামাটির কাউখালীতে এক পাহাড়ি নারীর ধর্ষণের ঘটনায় বিচার দাবি করেন। বিক্ষোভ শেষে […]

খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে ‘আদিবাসী ছাত্র সমাজ’ ব্যানারে শহরের মহাজনপাড়া থেকে এই বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয় এবং শাপলা চত্বর হয়ে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা অপহৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি এবং রাঙামাটির কাউখালীতে এক পাহাড়ি নারীর ধর্ষণের ঘটনায় বিচার দাবি করেন।

বিক্ষোভ শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়, যাতে অপহৃত শিক্ষার্থীদের দ্রুত উদ্ধার এবং কাউখালীর ধর্ষণ মামলার বিচার দাবি করা হয়।

খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তুষন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রহেল চাকমা, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের খাগড়াছড়ি সদর থানা শাখার সভাপতি আকাশ ত্রিপুরা, পিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুজন চাকমা, বাংলাদেশে মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উক্যানু মারমা, শিক্ষার্থী সুমতি বিকাশ চাকমা, মায়া চৌধুরী প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইউপিডিএফের সদস্যরা পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে। চার দিন পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীদের খোঁজ মিলছে না এবং প্রশাসনও তাদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন: রিশন চাকমা, মৈত্রীময় চাকমা, অলড্রিন ত্রিপুরা, দিব্যি চাকমা, এবং লংঙি ম্রো—তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

১৬ এপ্রিল সকালে খাগড়াছড়ির কুকিছড়া থেকে অটোরিকশায় আসার পথে গিরিফুল এলাকায় তাদের গাড়ি আটকানো হয়, এরপর তাদের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। চালককে ছেড়ে দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের খোঁজ এখনো মেলেনি।

এদিকে, ইউপিডিএফের একজন জেলা সংগঠক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাদের সংগঠনের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই এই অপহরণের ঘটনায় এবং তারা ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের বিপক্ষে।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা নেয়া হচ্ছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Empath@2024. All Rights Reserved.