প্রচণ্ড রোদের তাপে অতিষ্ঠ এই সময়টায় শরীরকে ঠান্ডা রাখা এবং সুস্থ থাকা বড় চ্যালেঞ্জ। অতিরিক্ত গরমে দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতা, হিটস্ট্রোক, হজমের গোলমালসহ নানা সমস্যা। এমন পরিস্থিতিতে এক গ্লাস ঠান্ডা বেলের শরবত হতে পারে এক অসাধারণ প্রাকৃতিক প্রতিকার।
বেলের শরবতে প্রচুর পানি থাকে, যা শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা কমে।
এছাড়া, অতিরিক্ত গরমে হজমশক্তি দুর্বল হয়ে পড়লেও বেলের শরবতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজমে সহায়তা করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও কার্যকর।
বেলের শরবতের আরেকটি বড় গুণ হলো এটি শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখে। শীতল প্রভাবের কারণে গ্রীষ্মকালে এটি একটি আদর্শ পানীয় হিসেবে বিবেচিত।
শুধু হাইড্রেশন নয়, পুষ্টিগুণের দিক থেকেও বেল সমৃদ্ধ। এতে আছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফাইবার এবং নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট—যা শরীরকে নানা রোগ থেকে সুরক্ষা দেয় ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়।
যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্যও বেলের শরবত উপকারী। এতে ক্যালোরি কম, এবং এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, ফলে অপ্রয়োজনীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমে।
এছাড়াও, বেলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ত্বকের জন্যও উপকারী। এটি সূর্যের তাপে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়।
সব মিলিয়ে বলা যায়, গরমে সুস্থ থাকতে এবং শরীর-মনকে ঠান্ডা রাখতে বেলের শরবতের বিকল্প নেই।