নতুন ভাড়া নির্ধারণ করার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে যাত্রীবাহী স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে সোমবার (৫ মে) থেকে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই পথে চলাচলকারী যাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনে সারাদেশের নৌরুটে স্পিডবোটের ভাড়া নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সেখানে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনে কাপ্তাই হ্রদের রাঙ্গামাটি ফিশারি ঘাট থেকে মারিশ্য (বাঘাইছড়ি উপজেলা) পর্যন্ত ৮০০ টাকা, মাইনীমুখ (লংগদু উপজেলা) পর্যন্ত ৪৫০ টাকা, জুড়াছড়ি পর্যন্ত ৩২০ টাকা এবং বরকল পর্যন্ত ৩৩০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ মারিশ্যা পর্যন্ত এক হাজার, মাইনীমুখ পর্যন্ত ৬৫০ টাকা এবং জুড়াছড়ি ও বরকলে ৫০০ টাকা হারে ভাড়া আদায় করা হয়। কমিয়ে নতুন করে ভাড়া নির্ধারণ করায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিকরা।
এই নৌরুটে নিয়মিত চলাচলকারী মাইনীমুখ বাজারের ব্যবসায়ী কামরুল হাসান জানান, এখন শুষ্ক মৌসুম। কাপ্তাই লেকের পানি কমে যাওয়ায় লঞ্চে যাতায়াত করতে অনেক সময় লাগে। স্পিডবোটে কম সময়ে সহজে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু গত তিন দিন ধরে স্পিডবোট বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
স্পিডবোট মালিক সমিতির লাইনম্যান এস্কান্দর আলী জানান, মন্ত্রণালয়ের ভাড়ার তালিকায় কিলোমিটারের হিসেবে ভুল আছে। রাঙ্গামাটি থেকে মাইনীর দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার। দূরত্ব হিসেবে ভাড়া হয় ৬৪০ টাকা কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে ৪৫০ টাকা। এই ভাড়ায় স্পিডবোট চালানো কোনোভাবেই সম্ভব না।
কবে নাগাদ এ সমস্যার সমাধান হতে পার, সে বিষয়ে স্পিডবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমরা ন্যায্য ভাড়া নিয়ে সেবা দিচ্ছি। তবে নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের ভুলে এমন সমস্যা তৈরি হয়েছে। এভাবে ভাড়া নিলে আমাদের লোকসান দিয়ে চালাতে হবে। নিরূপায় হয়ে বোট বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল সংশোধন করে নতুন প্রজ্ঞাপন দিলেই আমরা সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।
এ বিষয়ে লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কফিল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, স্থানীয় অনেকেই যোগাযোগ করেছেন। তারা সবাই নতুন ভাড়া কার্যকর চান। তবে স্পিডবোটের কার্যক্রম জেলা থেকে পরিচালিত হয়। আমি জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবগত করেছি। আশা করি শিগগির এ সমস্যার সমাধান হবে।