গোড়ালির চোট এখনও পুরোপুরি সেরে না ওঠায় জাতীয় দলের গতি তারকা পেসারকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের স্কোয়াডে রাখা হয়নি। লন্ডনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে অন্তত আরও এক মাস পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
সম্প্রতি লন্ডনে গিয়ে তিনি তিনজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন—একজন স্পোর্টস সার্জন, একজন স্পোর্টস সাইকোথেরাপিস্ট এবং একজন গোড়ালি বিশেষজ্ঞ। এই তিন চিকিৎসক সম্মিলিতভাবে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রদান করেন। জাতীয় দলের চিকিৎসক দলের নেতৃত্বে থাকা বিশেষজ্ঞ ওই রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে পুনর্বাসনের একটি মাসব্যাপী পরিকল্পনা সাজিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবর মাস থেকেই তিনি গোড়ালির ব্যথা অনুভব করছিলেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি মাঠে নামা অব্যাহত রেখেছিলেন। তবে সময়ের সঙ্গে সেই ব্যথা বাড়তে থাকে, যা শেষ পর্যন্ত তাঁর বোলিং পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে। অবস্থা জটিল হতে থাকায় চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন।
আজ থেকে তাঁর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। জাতীয় দলের স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচের তত্ত্বাবধানে এই প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে ফিজিওর সহায়তায় পুরো পুনর্বাসন পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
চোটের কারণে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও অংশ নিতে পারেননি তিনি। একই কারণে বাদ পড়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেও।
তবে আশা করা হচ্ছে, জুনের প্রথম সপ্তাহে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা সফরের মাধ্যমেই মাঠে ফিরতে পারবেন এই গতিময় পেসার।