পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা। তিনি জানান, এই অঞ্চলের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং পার্বত্য চুক্তির বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, নিরাপত্তা ও পর্যটন খাতে দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, পার্বত্য এলাকার নিরাপত্তা জোরদার, শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন এবং শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, সরকার পার্বত্য অঞ্চলে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, স্যাটেলাইট ভিত্তিক দূরশিক্ষণ এবং হোস্টেল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। এসব উদ্যোগ ছাত্রছাত্রীদের জন্য পড়াশোনাকে আরও সহজ ও সুলভ করেছে।
তিনি আরও বলেন, বহু বছর পার হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ দেশের মূল স্রোতের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সম্পৃক্ত হতে পারেনি। বিষয়টি সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে এবং এই সংযোগ নিশ্চিত করতেই নেওয়া হচ্ছে কার্যকর পদক্ষেপ।
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে উল্লেখযোগ্য কোনও অস্থিরতা নেই। জনসাধারণসহ বিদেশিদের জন্য এই এলাকা নিরাপদ। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ পার্বত্য এলাকা ঘুরে সেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন। উৎসবকালীন সময়ে হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটকের আগমন তারই প্রমাণ। তাদের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিতে সরকার সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে চলেছে।
তিনি বলেন, সরকার চায় একটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক, সেই লক্ষ্যে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। বৈষম্যহীন ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এবং এই যাত্রায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও সরকার স্বাগত জানায়।
সাক্ষাৎ শেষে জানানো হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে আলোচনা ছিল ফলপ্রসূ এবং ভবিষ্যতে উন্নয়ন ও শান্তির পথে দুই দেশের সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
