স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ধর্মীয় আচার পালনের উদ্দেশ্যে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় গেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি। শনিবার দুপুরে তিনি এই সীমান্তপথে ভারতে প্রবেশ করেন।
এর আগে তিনি সড়কপথে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এসে পৌঁছান। সফরসঙ্গী সূত্রে জানা গেছে, এই প্রথমবারের মতো তিনি এ রুট ব্যবহার করে ভারতে গেছেন। তার এই সফরের উদ্দেশ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াও পিতৃ-মাতৃ তর্পণ এবং অন্যান্য ধর্মীয় আচারাদি সম্পাদনের অনুষ্ঠান।
সীমান্ত অতিক্রমের সময় সাংবাদিকরা পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে রাজি হননি। শুধু বলেন, “একবার আসুন, রাঙামাটি ঘুরে দেখে যান, তবেই বুঝবেন।” এর বাইরে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি।
তার ব্যক্তিগত সহকারী জানিয়েছেন, একই পথ ধরে তিনি দেশে ফিরবেন। তবে নির্দিষ্ট তারিখ এখনো জানা যায়নি।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সীমান্তে তাকে স্বাগত জানান স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা, ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এবং আইসিপি ক্যাম্পের কমান্ডার।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি হিসেবে তিনি ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তিতে সই করেন। এছাড়া ১৯৯৯ সালের ১২ মে থেকে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।