আগামী অর্থবছরের জন্য একটি বাস্তবভিত্তিক বাজেট তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, অতীতে বাজেট যেন খরচের উৎসব পালনের মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। তিনি মন্তব্য করেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি বাজেট প্রণয়ন করা, যা ব্যয়ের ওপর নয় বরং একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রস্তুত করা হবে।”
রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত বাজেট-সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই সভার আয়োজন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, “বিগত সরকারের সময়ে নয়-ছয় প্রস্তাবের কারণে দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অপ্রয়োজনীয় বহু প্রকল্পে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে যেন সেটি ছিল কোনো উৎসব পালনের মতো। এমন ব্যয়ের কোনো প্রয়োজন ছিল না।”
তিনি আরও মন্তব্য করেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে কর ব্যবস্থায় ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা না গেলে সমাজে দুর্বৃত্তায়ন বাড়ে। তার ভাষায়, “যখন ন্যায্যতা থাকে না, তখন দুর্বৃত্তরা ক্ষমতায় আসে এবং অরাজকতা তৈরি করে।”
পরামর্শ সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, “২০২৬ সালে আমরা স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পথে রয়েছি। তবে এই উত্তরণ প্রক্রিয়া ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের বাস্তবতায় কিছু ঝুঁকিও রয়েছে, বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের পাল্টা শুল্কের কারণে রপ্তানি খাতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে খুব বেশি আলোচনা শোনা যায় না, যা উদ্বেগজনক।”
এই আলোচনায় তিনি বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেট প্রণয়নের আহ্বান জানান এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনায় দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতার বিষয়টি তুলে ধরেন।