খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থী ৯ দিন পর মুক্তি পেয়েছেন। তাদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সভাপতি, জনাব নিপুণ ত্রিপুরা।
মুক্তি পাওয়ার পর, যদিও তাদের কোথায় এবং কখন মুক্তি দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি, তবে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, যৌথবাহিনীর অব্যাহত অভিযান এবং চাপের কারণে অপহরণকারীরা বাধ্য হয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।
মুক্তিপণের বিষয়টি পিসিপি তাদের এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে। ২১ এপ্রিল, যৌথবাহিনী খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের পূর্ণ চন্দ্র কার্বারী পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ইউপিডিএফের গোপন আস্তানায় ঢুকে বিপুল পরিমাণ প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম, চাঁদা আদায়ের রশিদ, ল্যাপটপ, মোবাইল এবং সামরিক ইউনিফর্ম উদ্ধার করে।
মুক্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ ছাত্র- রিশন চাকমা, মৈত্রীময় চাকমা, দিব্যি চাকমা, লংঙি ম্রো এবং অলড্রিন ত্রিপুরা। তারা ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং পিসিপির চবি শাখার সদস্য।
এ বিষয়ে পিসিপি’র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে, যারা মুক্তির প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
এটি উল্লেখযোগ্য যে, ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে ওই শিক্ষার্থীদের অপহরণ করা হয়েছিল।